সেতু না থাকায় আতঙ্কে নদীবেষ্টিত বাসিন্দারা
সন্ধ্যা নামতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন!
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৭-১২-২০২৪ ০৪:১০:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৭-১২-২০২৪ ০৪:১০:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
শরীয়তপুরের পদ্মা নদীবেষ্টিত চারটি ইউনিয়নে এক লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। সেখানে সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে চরের বাসিন্দাদের। এই ইউনিয়নগুলোতে দিনে নৌকায় যাতায়াত করলেও সন্ধ্যার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের। এ নিয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে একটি সেতুর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ওইসব ইউনিয়ন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকা বা ট্রলারে করে শরীয়তপুরের নওপাড়া, চরাত্রা, কাঁচিকাটা ও কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন জেলা-উপজেলায়। দিনে নৌকা চললেও সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় চার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ সময় বেশি দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থী ও রোগীরা।
কাঁচিকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা আসাদুল্লাহ মুন্সি বলেন, ‘ব্রিজ ও রাস্তার সমস্যার কারণে ছেলে-মেয়েরা ভালো স্কুল-কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারছে না। এছাড়া কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও পোহাতে হয় অনেক ভোগান্তি।’
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মোল্লা বলেন, ‘ঝুঁকির পাশাপাশি নৌকা পারাপারে অর্থ ও সময় বেশি লাগছে। রাত ৯টার পর যাতায়াতের একমাত্র নৌকাও বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাছাড়া চুরি ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে। দুর্ভোগ অবসানে পদ্মা চরের নওপাড়া-মুন্সীগঞ্জ এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘নওপাড়া, চরাত্রা, কাঁচিকাটা ও কুণ্ডেরচর—এই চারটি ইউনিয়ন পদ্মা নদীবেষ্টিত। ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয় ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। এতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা ভালো স্কুল-কলেজে গিয়ে লেখাপড়া করতে পারছে না। এছাড়া কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও বিপাকে পড়তে হয়। পাশাপাশি চুরি ও ডাকাতির ভয়তো আছেই। তাই চার ইউনিয়ন বাসিন্দাদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে একটি ব্রিজ খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছি। ব্রিজটি হলে ভোগান্তি কমত পদ্মাবেষ্টিত চরের বাসিন্দাদের।’
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে এরই মধ্যে ৩২০ মিটার একটি সেতুর প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেতুটি হয়ে গেলে এলাকার শিক্ষা ও কৃষি বিভাগ আরও প্রসারিত হবে।’
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স